মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
‘এগল্যা নেকে নিয়ে কোনও লাব নাই’

‘এগল্যা নেকে নিয়ে কোনও লাব নাই’

‘এগল্যা নেকে নিয়ে কোনও লাব নাই। কষ্টের কতা তোমাহেরেক কয়া কী কাম হবে?’ সম্প্রতি বাঙ্গালী নদীর ভাঙনকবলিত গাইবান্ধার সাঘাটার রামনগর গ্রামে সাংবাদিকদের কাছে নিজের কষ্টের কথা এভাবেই ব্যক্ত করেন ভাঙনের কবলে পড়া অমিতন বেগম।

সরেজমিন দেখা যায়, যমুনার পানি কমতে শুরু করলেও বাঙ্গালী নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। সেইসঙ্গে বাঙ্গালী নদীর ভাঙন তীব্র রূপ নিয়েছে। চোখের সামনেই একের পর এক ভাঙছে বসতভিটা আর আবাদি জমি। নিজেদের ঘরবাড়ি ভাঙনের কবল থেকে সরানো নিয়ে ব্যস্ত নদীপারের মানুষ। বড় বড় গাছপালা কেটে নিরাপদে নিচ্ছেন তারা।

ভাঙনের কবলে পড়ে ৫ বার বাড়ির জায়গা হারানো রামনগর গ্রামের আবুল হোসেন প্রধান জানান, নদীর সঙ্গে আর টিকে থাকতে পাচ্ছি না। প্রতিবারই বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীতে চলে যায়। বিগত কয়েক বছরে ৮ বিঘা জমি নদী খেয়ে ফেলেছে। ৫ বিঘা জমি নদীতে হারানো রফিকুল ইসলাম বলেন, কী করব, ভাঙনের দৃশ্য চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই আমাদের। এ পর্যন্ত বসতভিটা হারিয়ে রামনগর, জালালতাইড়, বাঙাবাড়ি, কচুয়া ও গুজিয়া এলাকায় প্রায় ১০০ পরিবার অন্যত্র চলে গেছে। ভিটেমাটি হারানো লোকজন অন্যত্র গিয়ে অনেক কষ্ট করে জীবনযাপন করছেন। এখনো হুমকির মুখে রয়েছে বেশ কিছু পরিবারের বসতবাড়ি। যে কোনো সময় নদীতে চলে যাবে ১০টি পরিবারের বসতভিটা।

চারবার ভাঙনের শিকার হয়ে ভিটেমাটি হারিয়েছেন বাছের আলী। মাটির মায়া ছাড়তে চান না। কিন্তু উপায় তো নেই। দির্ঘদিনের মায়া ত্যাগ করে চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে আবারও নিজের ঘরবাড়ি ভাঙতে হলো তাকে। আর মুহূর্তেই নদীতে চলে গেছে বাছেরের শেষ সম্বল বসতভিটা। একইভাবে নিজেদের বসতভিটা নদীতে চলে যাওয়ায় থাকার ঘর নিরাপদে সরিয়ে নিতে ব্যস্ত আজাদুল ইসলাম। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাদের একটাই কথা, তা হলোÑ আর কত বসতবাড়ি খাবে এই নদী? এদিকে ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে আব্দুস সামাদ, আব্দুল হাকিম ও রনজু মিয়া, রোস্তম আলী, রফিকুল ইসলাম, ছাইফুল ইসলাম, ছায়দারসহ বেশ কিছু পরিবারের ভিটেমাটি।

এ ছাড়াও হুমকির মুখে রয়েছে রামনগর নয়াবাজার। কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহাবুবর রহমান জানান, পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীর ভাঙনও বেড়ে গেছে। নদীভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলে জানিয়েছি।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোকলেছুর রহমান জানান, বাঙ্গালী নদীর ভাঙন এলাকায় লোক পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com